বিডি সিলেট ডেস্ক:: সিলেটে কাজের মেয়েকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনকারী ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতালের একজন সেবিকা। তার নাম শাহনাজ আক্তার সাবিহা। তার স্বামীর নাম পলাশ মিয়া (৩৫)। তিনি এবং শাহনাজের বোন রেহেনা আক্তার রুমিও ওই কাজের মেয়েকে প্রতিদিন বেধড়ক মারপিট ও গরম খুন্তি দিয়ে স্যাকা দিতেন বলে তার বাবা অভিযোগে উল্লেখ করেন। অভিযোগ দায়েরের পর থেকে তিনি পলাতক।
কাজের মেয়েটির নাম মোছা. জান্নাত। বয়স মাত্র ১৩ বছর। তার বাবার নাম মো. জাকির হোসেন। মেয়ের বিরুদ্ধে এমন অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগে তিনি সোমবার সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওসমানী মেডিকেলের নার্স শাহনাজ ও মো. জাকির হোসেনের বাড়ি গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের চৈলাখেল গ্রামে। মাত্র ১৫শ’ টাকা বেতনে ঘরের কাজের জন্য তাকে নিয়েছিলেন শাহনাজ। এরপর ভাত বেশী খাওয়াসহ নানা তুচ্ছ কারণে জান্নাতকে শারীরিক নির্যাতন করতেন শাহনাজ তার স্বামী ও বোন। ভয়ে মেয়েটি এতদিন মুখ খুলেনি।
দেড় বছর ধরে শাহনাজ জান্নাতকে তার বাড়িতে যেতে দেননি। এবার ঈদুল আজহার ছুটিতে নিজে বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে জান্নাতকেও সাথে নিয়েছিলেন। তখন সে তার মা বাবাকে ঘটনা খুলে বলে। এরপরই তার বাবা জাকির মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, কাজের মেয়েকে নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তার শরীরে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সে হাসাপতালে চিকিৎসাধীন। এ নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকে অভিযুক্তদের খুঁজছে পুলিশ। তারা পলাতক রয়েছেন।’