আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: ঘটনাটিকে অলৌকিক বলা যেতেই পারে। কারণ বিমানটি ধ্বংস হয়েছিল দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে। কারো বেঁচে থাকার আশা ছিল খুবই ক্ষীণ বা ছিলই না। তবু গভীর আমাজান জঙ্গল থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে চার শিশুকে। এদের তিনজনের বয়স ১৩, ৯ ও ৪ বছর এবং অন্যজনের মাত্র ১১ মাস।চারটি শিশুই কলম্বিয়ার একটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয় গত ১ মে। এতে বিমানের পাইলটসহ তিন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি নিহত হন। তবে বিমানে থাকা কয়েক শিশুর খোঁজ মিলছিল না।
ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরসহ ১০০ সেনাকে মোতায়েন করা হয়।
উদ্ধার করা শিশুরা ফেলে দেওয়া ফল খেয়ে বেঁচে ছিল। সেইসঙ্গে জঙ্গলের গাছপালা দিয়ে আশ্রযয়ের জন্য একটু জায়গা করে নিয়েছিল। উদ্ধার অভিযানে কলম্বিয়ার সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনীর বিমান এবং হেলিকপ্টার অংশ নেয়।
এ ঘটানায় সন্তোষ প্রকাশ করে কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি গুস্তাভো পেট্রো টুইটারে এক বার্তায় বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীর অনুসন্ধানের পর গুয়াভিয়ারে বিমান দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ চার শিশুকে জীবিত পেয়েছি আমরা।