মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪১ অপরাহ্ন
বিডি সিলেট:: কর্মব্যস্তময় এই পৃথিবীতে ব্যস্ততা সবার আছে। জরুরি প্রয়োজনে যেকোনো কর্মজীবী মানুষকে যখন-তখন বাড়ির বাইরে যেতে হয়। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে, একটু রাত হলেই বাইরে যাওয়ার সময় নিজের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করতে হয়। কিন্তু সবসময় হয়তো যাতায়াতের বিশ্বস্ত ও নিরাপদ মাধ্যম পাওয়া যায় না। আবার গণপরিবহনে যাতায়াত করতেও অনেকে হয়তো স্বচ্ছন্দ নন।
এ রকম পরিস্থিতিতে ঝামেলামুক্ত ও নিশ্চিন্ত যাতায়াতে অনেক নারী বেছে নেন রাইডশেয়ারিং সার্ভিসগুলো। দ্রুত ও নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে এসব সার্ভিস বেশ নির্ভরযোগ্য। দিন-রাতের যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গা থেকে এই সার্ভিস বুক করা যায় এবং কোনো দুশ্চিন্তা ছাড়াই চলাচল করা যায়। জরুরি প্রয়োজনে শহরের বাইরে যেতেও এই সার্ভিসগুলো বেশ কার্যকর।
যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য উবারের মতো রাইডশেয়ারিং সার্ভিসগুলোতে আছে বিভিন্ন ধরনের ফিচার। প্রথমত, এসব প্ল্যাটফর্মের চালক হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে কঠোর যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, যাতে অপরাধের রেকর্ড সন্দেহজনক ব্যাকগ্রাউন্ড আছে এমন কেউ এই প্ল্যাটফর্মে আসতে না পারে।
রাইডশেয়ারিং ট্রিপগুলো সার্বক্ষণিক জিপিএসের আওতায় থাকে, তাই খুব সহজেই ট্র্যাক করা যায়। যাত্রীরা প্রিয়জনদের সঙ্গে সরাসরি নিজের অবস্থানও (লাইভ লোকেশন) শেয়ার করতে পারবেন। রাইড বুকিং দেওয়ার আগে যাত্রীরা চালকের নাম, ছবি, রেটিং ইত্যাদি জানতে পারেন, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার ব্যাপারে অভিযোগ করার ক্ষেত্রে যা খুবই দরকারি।
এ ছাড়া, ভেরিফাইড পার্টনার, ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ৯৯৯ সেবা, যেকোনো সময় যেকোনো ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য একটি ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (আইআরটি), ভ্রমণের সময় যেকোনো সমস্যা রিপোর্ট করার জন্য একটি হেল্পলাইনের মতো সুরক্ষাসহ সমস্ত রাইডে টু-ওয়ে ফিডব্যাকের সুবিধা রয়েছে এসব অ্যাপে। পাশাপাশি, অ্যাপের ইন্স্যুরেন্স পলিসির মাধ্যমে যাত্রীরা কোনো দুর্ঘটনার মুখোমুখি হলে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে রাইডশেয়ারিং সার্ভিসগুলো সবসময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তাই নারীদের নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত যাতায়াতের জন্য বিশ্বস্ত সঙ্গী হতে পারে এসব সার্ভিস।