বৃহস্পতিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়া জিরো পয়েন্টে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। তাদের সঙ্গে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। সহজে সীমান্তের দিকে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া জিরো পয়েন্টের গৃহহারা রোহিঙ্গারা যেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে এ জন্য বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। তবে বরাবরের মতো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে স্থানীয়রা।
জাহাঙ্গীর আলম নামে স্থানীয় এক যুবক বলেন, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা প্রভাব বিস্তার করতে নিজের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। তাদের কাছে অত্যাধুনিক ভারি অস্ত্র রয়েছে। তাই গোলাগুলি হলেই আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। গতকাল সংঘর্ষের পর সীমান্তে কাউকে যেতে দিচ্ছে না বিজিবি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সাধারণ রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, ক্যাম্পে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে মূলত সংঘর্ষে জড়ান সন্ত্রাসীরা। বুধবার ‘আরএসও’র সঙ্গে ‘আরসার’ সংঘর্ষের ঘটনাটি ভিন্ন কিছু হতে পারে। কারণ আরএসও সদস্যরা মাদকের সঙ্গে জড়িত নন। ক্যাম্পেও তাদের অবস্থান কম। তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব বিস্তার করতে নবী হোসেন গ্রুপ, মাস্টার মুন্না গ্রুপ, আল ইয়াকিন বা আরসা গ্রুপের সদস্যদের মাঝে সংঘর্ষ প্রায় লেগেই থাকে। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
গতকাল বুধবার জিরো পয়েন্টের ঘটনার পর থেকে সীমান্তে বিজিবির সতর্ক অবস্থানের কথা জানান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা।
তিনি বলেন, জিরো পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের দুইটি গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
ইউএনও বলেন, ঘটনার সময় আতঙ্কিত কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে। তারা যেন লোকালয়ে মিশে যেতে না পারে সেজন্য আমরা তাদের চিহ্ন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বসানো হয়েছে বিভিন্ন পয়েন্ট চেকপোস্ট। রোহিঙ্গাদের বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, গোলাগুলির ঘটনা হলেই স্বাভাবিকভাবে মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। কিন্তু জিরো পয়েন্টের ঘটনায় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিজিবির খুবই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।