বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন
সুলতান আহমদ খলিল:: আমি গাঁজা সেবন করি কিন্তু ধর্ষণ করিনা। আমি খুবই ভালো মানুষ! আমিও উঠতি বয়সের তরুণী তন্বী বা সুশ্রী সুদর্শনাদের মোটরবাইকের পিছনে নিয়ে ঘুরাঘুরি করি। লুকিং গ্লাসে কপোল বেয়ে ঝিলমিল কেশের মায়াবী আছড় দেখি তবুও আমি ভালো মানুষ! সুশীতল ছায়া থেকে সরে গিয়ে সাধু সন্যাসীরদলে ভীড়ে পারাবারের ঢেউয়ের তালে শনশন শব্দে খিলখিল তরঙ্গে উদ্ভাসিত হই তবুও আমি ভালো মানুষ!
আমি ধর্ষণ করিনা, আমি মেয়েদের মায়াময়ী ছায়াময় কোমলপ্রাণকে কষ্ট দিতে চাইনা, আমি হাতের তালে বাঁশের বংশি বাজাই কিন্তু করিল খাইনা তবুও আমি ভালো মানুষ!
কথাগুলো একটু মনের আবেগ তাড়িত নিয়ে বিবেকের তাড়নায় লিখে যাচ্ছি সম্প্রতি মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত একজন সদস্যের বাসায় ডিনার ও গাঁজা পার্টির আয়োজন করে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে মৌলভীবাজারে আলোচনা-সমালোচনায় টক অব দ্যা টাউনে পরিণত। জানাযায় গত ৩ আগস্ট রাতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সোনাপুর এলাকায় একজন সাংবাদিক সাহেবের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
এই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন পাঁচজন। তারা সবাই বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমি একদমই অবাক হইনা! কারণ ডান রেখে বামে গেলে এরকম ঘটনা ঘটবেই স্বাভাবিক। এবং তাদের মধ্যে একজন নারী সুরক্ষা আন্দোলনের নেত্রীও ছিলেন। তিনি সেখানে গাঁজা সেবনে আসা আরেক নারীকে নরপশু থাবায় ক্ষত-বিক্ষত করতে সহায়তাও করেছেন বলে শুনেছি। তাহলে তাঁর নারী সুরক্ষা আন্দোলনের কাজ তিনি কোথায় করেন? নাকি তিনি সুরক্ষা আন্দোলনের নামে অশালীন কুরুচিপূর্ণ বিতর্কিত বিমূর্ত রূপে উদ্ভুদ্ধকরণে সহায়তা করে মজা নিতে পছন্দ করেন?
শুনেছি এ ঘটনায় পক্ষে-বিপক্ষে দুটি মামলা হয়েছে মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়াসিনুল হক আমার অত্যন্ত পরিচিত যিনি আমাকে ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করতেন অত্যন্ত চৌকস ও মেধাবী পুলিশ অফিসার আশাকরি তিনি বিষয়টি ভালো চোখে দেখবেন। এবং গাঁজা সেবন ও পার্টির আয়োজন করা এবং সেই পার্টিতে ধর্ষণ করা একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ সেদিকে লক্ষ রাখবেন।
অনেকে ভাববেন এটা নিয়ে আমার কেন মাথাব্যথা যেহেতু আমি মৌলভীবাজার জেলা সাংবাদিক ফোরামের একজন সক্রিয় সদস্য সেজন্য নিজ জেলা এবং সাংবাদিক অঙ্গনের মধ্যে এই আকাম-কুকামের মোহরত সেজন্য কিছুটা নাকগলানো অবশ্য দরকার। গাঁজা সেবন ও বাসায় গাঁজা সেবন পার্টির আয়োজন করা এবং পার্টিতে ধর্ষণ করা আমার চোখে সমান অপরাধী।
আমি আশাকরি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়াসিনুল হক ভাই আইনের সঠিক প্রয়োগ করে প্রমাণ করে দেবেন আইন সবার জন্য সমান সাংবাদিক আর ছাত্রনেতা ও নারী সুরক্ষা আন্দোলনের নেত্রী কেউ আইনের উর্ধে নয়। তাহলে পরবর্তীতে আর কেউ এরকম নৈতিকতা বহির্ভূত কাজ করতে কিছুটা হলেও ভেবেচিন্তে করবে।
লেখকঃ সুলতান আহমদ খলিল
প্রতিনিধি, দৈনিক যায়যায়দিন।