বিডি সিলেট ডেস্ক:: কে জানতো সকালে তোলা ছবি দুপুর নাগাদ মানুষগুলো একদমই ছবি হয়ে যাবে। হয়তো এই ছবি স্পর্শ করেই স্বজনরা তাদের প্রিয় সন্তান নানা স্মৃতি খুঁজে ফিরবে, কষ্টে বুক ভাঙবে।
দুর্ঘটনাটি ঘটে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া এলাকায়। পূর্ব খৈয়াছড়া গ্রামের ঝরনা থেকে কিছুটা দূরেই ছিল রেলের লেভেলক্রসিং। রেললাইনে ট্রেন আসছিল কিনা তা জানা ছিল না তাঁদের কারোই। রেলপথ পাড় হতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসে থাকা ১১ জন মারা যান।
জানা গেছে, নিহত ও আহত সকলের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজার খন্দকিয়ায়। শুক্রবার (২৯ জুলাই) এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে কোচিং সেন্টারের চার শিক্ষক জিসান, সজীব, রাকিব এবং রেদোয়ান মিরসরাইয়ে খৈয়াছড়া পানির ঝর্ণা দেখতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে দুপুরে ট্রেনের ধাক্কায় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহিদুল আলম বলেন, ‘আর এ- জে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও ছাত্ররা সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলেন। গাড়িতে কোচিং সেন্টারের ৪ জন শিক্ষক ছিল। বাকিরা শিক্ষার্থী। ’
নিহত এসএসসি পরীক্ষার্থী হিশামের বন্ধু সাজিদ বলেন, আমারও ওদের সঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজকে এলাকায় একটা ফুটবল টুর্ণামেন্ট থাকায় আমি আর যাই নাই। আমি আমার বন্ধুদের হারিয়ে ফেললাম। আর ওদের দেখতে পাব না বলেন কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহিদুল আলম বলেন, ‘আর এ- জে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও ছাত্ররা সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলেন। গাড়িতে কোচিং সেন্টারের ৪ জন শিক্ষক ছিল। বাকিরা শিক্ষার্থী। ’
