বুধবার, ০৩ মার্চ ২০২১, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন
মোঃ আবু জাবের :- ইট-পাথরের বড় বড় দালান আর যানজটের এই শহরে নেই কোনো উন্মুক্ত স্থান। পুরো দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে বিকেল হলে একটু হাওয়া খাওয়া, নিজের মতো করে একটু হাটাচলার কোনো জায়গা নেই।
এই অভাব পুরণ করতে পাঠানটুলা গুয়াবাড়ির নবনির্মিত ওয়াকওয়েকে বেছে নিয়েছেন নগরবাসীরা। চা বাগানের পাশে দাঁড়িয়ে সূর্যের হারিয়ে যাওয়া, কিংবা সারা দিনের কর্মক্লান্ত শরীরে একটু হাওয়ার পরশ-দেহমন দুটোই জড়িয়ে যেতে বাধ্য।
বিকেলের মৃদু হাওয়া, দিন শেষে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডার আসর, সব যেনো মিলেমিশে একাকার। মাঝে মাঝে মোবাইল ফোনটা পকেট থেকে বের করে দুই একটা স্থির চিত্র আর প্রিয়জনের সাথে কিছু আনন্দঘন সময় কাটানো এ যেনো ইট-পাথরের আর যানজটের নগরীতে আপন মহিমায় হারিয়ে যাওয়া।
উঁচু-নিচু টিলা ও টিলাঘেরা সমতলে সবুজের চাষাবাদ। শুধু সবুজ আর সবুজ। পাহাড়ের কিনার ঘেষে ছুটে গেছে আকাবাঁকা মেঠোপথ, নেই কোন যান্ত্রিক দূষণ।
সিলেটের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রকৃতির রূপ-লাবণ্যের অপূর্ব সৌন্দর্যের ভাণ্ডার। এখানকার নৈসর্গিক প্রাকৃতিক শোভা অতি সহজে মুগ্ধ করে পর্যটকদের। তবে, শহরের কাছে হওয়া এই ওয়াকওয়েতে পর্যটকের ভিড় লেগেই আছে।
নগরীর আখালিয়া থেকে বেড়াতে আসা মারুফ জানান, শহরের পাশে হওয়ায় চা বাগানের সৌন্দর্য দেখতে তিনি বন্ধুদের নিয়ে সেখানে এসেছেন। তার অনেক ভালো লাগছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে নতুন পাতা গজানোর কারণে বাগানে নতুন রূপ পেয়েছে বলে মন্তব্য তার। তার মধ্যে আবার নবনির্মিত ওয়াকওয়ে দুটো মিলেই এই এলাকার সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের পাঠানটুলা এলাকার গুয়াবাড়িতে কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান এটা নির্মাণ করেন। এটা সিটি কর্পোরেশন এর সিলেটের সৌন্দর্যবর্ধন প্রজেক্ট এর একটা অংশমাত্র। চাবাগানের পাশেই এই ওয়াকওয়েটি নির্মিত হওয়ায় এর সৌন্দর্য অনেকগুন বেড়ে গেছে।