বুধবার, ০৩ মার্চ ২০২১, ১১:৩৯ অপরাহ্ন
বিডি সিলেট নিউজ ডটকম:: টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং দুটি বাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টার ব্যাপারে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর বিস্ময় ও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, স্বার্থান্বেষী মহল ফেসবুক ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং কিছু প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে ব্যবহার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। উদ্ভুত এ পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ দুটি পেশাদার বাহিনীকে মুখোমুখি দাড় করানোর এ অপচেষ্ঠা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অপ্রত্যাশিত। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, অশুভ চক্রের এ ধরণের ঢালাও নেতিবাচক প্রচার প্রচারণা সত্ত্বেও তাঁদের মনোবল অটুট রেখে তারা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবেন। আমরা দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে বলতে চাই, বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যশীল থেকে সংবিধান ও মানবাধিকার সমুন্নত রেখে দেশ ও মানুষের কল্যাণে সর্বদা কাজ করে যাবে।
পুলিশ একটি রাষ্ট্রের দৃশ্যমান অবয়ব হিসেবে বিবেচিত। এ পুলিশ বাহিনীর সদস্যগনই দিনশেষে জনগনের জান ও মালের নিরাপত্তা বিধান করে থাকে। বাংলাদেশ পুশিল সার্ভিস অ্যাসেসিয়েশন স্ব্যর্থহীন ভাষায় দেশবাসীকে আশ্বস্থ করতে চায় যে, ব্যক্তির কোনো অপকর্মের দায় বাংলাদেশ পুলিশ বহন করে না। বাংলাদেশ পুলিশ অপরাধীকে কঠোর শাস্তি প্রদানে সবসময় সর্বার্থক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
একে দুঃখজনক ও অপ্রত্যাশিত আখ্যা দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন। জানান, অতীতের মতো বাংলাদেশ পুলিশ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যকার বিদ্যমান আস্থা, বিশ্বাস এবং আন্তরিক শ্রদ্ধাপূর্ণ সম্পর্ক অটুট থাকবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম (অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি) এবং নারায়ণগঞ্জের এসপি মোহাম্মদ জায়েদুল আলম (সাধারণ সম্পাদক ) দেশবাসীকে পুলিশের ব্যাপারে আশ্বস্ত করে বলেন, ব্যক্তির অপকর্মের দায় পুলিশ বহন করবে না।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা আরও বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করণ, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন মেগা ইভেন্টে নিরাপত্তা প্রদানসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুঃসময় ও যেকোনো ক্রান্তিকালে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব সৌহার্দ্য, ও সম্প্রীতির আবহে একযোগে কাজ করে দেশ ও জনগণের সেবা করেছে। অতীতের ধারাবাহিকতায় এই দুই বাহিনী মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আগামীতেও দেশ ও মানুষের সেবায় একযোগে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবে।’