শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিছলু:: আত্মত্যাগের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্যে সামর্থ্যবান ব্যক্তিরা ঈদুল আজহার দিনে কুরবানী দিয়ে থাকেন।আর কমবেশি সবারই জানা আছে, পশু কোরবানি করার পর মোট মাংসের তিনটি ভাগ করে এক ভাগ গরিব-দুঃখীকে, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনকে এবং এক ভাগ নিজে খাওয়ার জন্য রাখতে হয়। পশু কোরবানির ফলে অন্তর পরিশুদ্ধ হবে, আর এটাই হল কোরবানির মূল প্রেরণা।
কুরবানীর দিন দুপুরের পর থেকে একটা সাধারণ দৃশ্য সকলেরই চোখে পড়ে। কুরবানীদাতার বাড়ির দরজায় একদল মানুষের ভিড়। তাদের কেউ একা এবং কেউ পরিবারসহ। কেউ পেশাদার ভিক্ষুক এবং কেউ গরীব কর্মজীবি, আজ তারা সবাই এক কাতারে। কুরবানীর মাংস সংগ্রহের জন্য তারা দলে দলে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে।
মাংস বিতরণ করতে উপচে পড়া ভিড় ঠেকাতে হিমসিম খেতে হয়। কুরবানীদাতা নিজে বা তার পক্ষ থেকে কোনও লোক তাদেরকে মাংস বিতরণ করছেন।
সরেজমিনে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে কুরবানীর মাংস সংগ্রহ করে তারা বিকেল বেলা ঐ মাংসগুলো বিক্রি করছেন।
ঈদুল আজহার দিনে বিকেল বেলা সিলেট নগরীর জেল রোড পয়েন্ট, সুরমা মার্কেটের সামনে, কোর্ট পয়েন্ট, ক্বীনব্রীজ এর উত্তর এ দক্ষিণ পাশে, আম্বরখানা পয়েন্ট, দরগাহ গেইট, সুবিদ বাজার পয়েন্ট, শিবগঞ্জ পয়েন্ট এবং নগরীর উপশহর ই-ব্লক পয়েন্টে ৪২০ থেকে ৫২০ দরে মাংস বিক্রি করতে দেখা যায়।