শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১০:১৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্ট:: সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানা ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরাণ (রহ.) থানার যৌথ অভিযানে চালিয়ে একটি নোহা মাইক্রোবাসসহ ৬ লাকেজ ভারতীয় মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়েছে চোরাকারবারিরা।
শনিবার (১ আগষ্ট) রাত ১১টার সময় গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা এলাকার হাজি আব্দুল আহাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের মূল সড়ক থেকে নোহা গাড়িসহ মোবাইল জব্দ করা হয় । মোট কতটি মোবাইল আছে তা গণনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সূত্র।
সূত্র জানায়, সিলেটের সীমান্তবর্তী তামাবিল থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মোবাইল ফোনের একটি বৃহৎ চালান চোরাকারবারিরা নিয়ে আসছে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি শুরু করে এসএমপি’র শাহপরাণ (রহ.) থানা পুলিশ। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সিলেট-তামাবিল সড়কে হয়ে নোহা মাইক্রোবাস (নম্বর ঢাকা মেট্রো-চ-১১-৫২১৩) গাড়িটি আসে। তখন শাহপরাণ বাইপাস সড়কের দায়িত্বে থাকা পুলিশ গাড়িটিকে থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু গাড়িটি না থামিয়ে সিলেট-বাঘা সড়কের দিকে দ্রুত গতিতে যেতে থাকে এবং গাড়িটি থামানোর জন্য পুলিশ পিছু নেয়। শনিবার রাত ১১ টার দিকে ওই গাড়িটি বাঘা সড়কের হাজি আব্দুল আহাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে নির্জন স্থানে রেখে গাড়িতে থাকা ৪ জন চোরাকারবারি পালিয়ে যায়।তখন শাহপরাণ (রহ.) এস আই কামাল আহমদ ও রিপটন দাস গাড়িটি আটক করে গোলাপগঞ্জ থানাকে খবর দেন।
পরে গোলাপগঞ্জ থানার পুলিশ এসে নোহা মাইক্রোবাস গাড়ি ও ৬ লাকেজ ভারতীয় মোবাইল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত দেড়টা) গোলাপগঞ্জ থানায় উদ্ধারকৃত মোবাইলগুলো গণনা চলছিল।
স্থানীয়রা জানান, চোরাকারবারিদের বহনকৃত ভারতীয় মোবাইলসহ আটক গাড়িটি দেখতে স্থানীয় লোকজন ভীড় জমান। তখন চোরাকারবারিদের পক্ষের কিছু লোক সেখানে ঝামেলা বাধিয়ে মোবাইলগুলো নেয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দুই থানার পুলিশ মিলে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
গোলাপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বাঘা এলাকায় জব্দকৃত নোহা মাইক্রোবাস গাড়ি আটক করা হয়েছে। আর লাকেজ খোলে মোবাইল গুলো গণনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাকারবারিরা মোবাইলগুলো এনে বিক্রি করতে চেয়েছিল। তবে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা ও গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।