বুধবার, ১৮ মে ২০২২, ১২:৪৮ অপরাহ্ন
বিডিসিলেট ডেস্ক : ফেসবুকে মেয়ে সেজে প্রেম, চ্যাটিং। এরই সূত্র ধরে মন দেওয়া-নেওয়া। কিন্তু ওপাশের পুরুষটি যে ছদ্মবরণে ভয়ঙ্কর প্রতারক, খুনী, তা হয়তো জানতে না মাদরাসা শিক্ষক কাওসার আহমদ (৩০)।তাকে ডেকে এনে হত্যা হলো সিলেট সীমান্তে।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তের সংগ্রাম বিওপির পাশ্ববর্তী এলাকা থেকে হাত-পা বাধা অবস্থায় কাওসার আহমদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত কাওসার আহমদ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কালাম বহরপুর গ্রামের আব্দুল বাছিরের ছেলে। তিনি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নবীনগর একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন।
এ ঘটনায় হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত সামসুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।তিনি চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ মিয়ারপাড়া দাদনচক গ্রামের নজরুল ইসরামে ছেলে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, মেয়ে সেজে ফেসবুক আইডি খুলেন সামসুল ইসলাম। মেয়ে ভেবে তার প্রতারণার ফাঁদে পা দেন। ফেসবুকে চ্যাটিংয়ের সূত্র ধরে নারী পরিচয়দানকারী সামসুলের দেখা করতে আসেন জাফলংয়ে।তাকে সীমান্ত এলাকায় ঘটনাস্থলে দেখা করতে বলা হয়। সেখা পৌছার পর কাওসারকে খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হাত-পা বেধে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেন সামসুল।
তিনি বলেন, হত্যার পর মরদেহ ফেলে রেখে চলে যান হোটেলে। সেখানে ৯দিন আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোক পরিচয় দিয়ে উঠেছিলেন। যে কারণে সবাই তাকে সমীহ করে চলতো। নিহতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ওই হোটেল থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর প্রাথমিকভাবে সে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্বীকার করেছে।
এদিকে, নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।