শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১, ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন
মার্জানুল ইসলাম মার্জান:: নভেল করোনাভাইরাস বা কভিট ১৯ শব্দদ্বয়ের সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। এই ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী প্রাণহানি হয়েছে এক লাখের বেশি মানুষের। বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়েছে। বলা যেতে পারে করোনা ভাইরাস নামক তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সারা বিশ্বকে জিম্মি করে রেখেছি। ইহার আক্রমণ এতই শক্তিশালী যে সারা বিশ্বের চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা অসহায়।
এখন পর্যন্ত কোনো দেশ ভ্যাকসিন তৈরিতে সফল হয়নি।চিকিৎসা বিজ্ঞানী, ডাক্তার ও নার্স প্রতিনিয়ত যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তবুও বিজয়ের কিনারার সন্ধান পাচ্ছে না। আমেরিকার মত এত শক্তিশালী উন্নত দেশ হিমশিম খাচ্ছে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায়। প্রতিদিন হাসপাতাল থেকে লাশের সারি সারি বেরিয়ে যাচ্ছে। কবর খননের লোকেরা বিশ্রামহীন কবর খনন করে যাচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে অনেক দেশে গণকবর। সারা পৃথিবীর মানুষ আজ সেচ্চায় গৃহবন্দী। এমন সংকটপূর্ণে মুহূর্তে ডাক্তার নার্সরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবিরত চালিয়ে যাচ্ছে সংগ্রাম। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী আর বর্তমান সময়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া ডাক্তার-নার্সদের মাঝে তেমন অমিল নেই।
মুক্তিযোদ্ধারা লড়াই করেছিল দেশ, জাতিকে পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে রক্ষা করার জন্য তেমনি আজ ডাক্তার-নার্সরা লড়াই করে যাচ্ছে করোনা নামক শত্রুর হাত থেকে দেশ জাতিকে রক্ষা করতে। ডাক্তার- নার্স অনিদ্রায়, অনাহারে, বিশ্রামহীনভাবে পরিবার পরিজন ত্যাগ করে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। আমরা নির্বোধ,বোকার মত তাদের কে নিয়ে সমালোচনা করে যাচ্ছি। একবার কি ডাক্তার-নার্সদের মহানুভবতা, উদারতা ও ত্যাগের কথা চিন্তা করে দেখিছি?
একবার নিজেকে ডাক্তার-নার্সদের জায়গায় রেখে চিন্তা করি। ডাঃ মঈনুদ্দিন স্যারের মত ডাক্তাররা নিজের জীবন উৎসর্গ করছেন তবু দায়িত্ব থেকে পালিয়ে যাননি। এই মুহূর্তে ডাক্তার,নার্স ও স্বাস্থকর্মীরা হচ্ছেন আমাদের আশা প্রত্যাশার স্থল তাই দয়া করে ডাক্তারদের প্রতিপক্ষ ভাববেন না। আমরা যখন নিরাপদে অনিশ্চিতে খাচ্ছি ঘুমাচ্ছি, রিমট টিপে করোনার আপডেট দেখছি তখন ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীরা হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।সুতরাং ডাক্তারদের সমালোচনা নয়, প্রয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই।
লেখক: মার্জানুল ইসলাম মার্জান
যুগ্ম:আহ্বায়ক নিসচা বড়লেখা উপজেলা।
বিডি সিলেট নিউজ ডটকম/১ মে/শুক্রবার/