বিডি সিলেট ডটকম : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার সকালে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদারকে প্রধান করে আট সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, রোববারের ঘটনা খতিয়ে দেখতে এই কমিটি করা হয়েছে। দ্রুত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
সকালে মুক্তমঞ্চের সমাবেশ থেকে উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে সন্ধ্যায় তাকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য, ১০ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ১৫ জন শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।
রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ তার বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। উপাচার্য জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের কাল সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগ করতে হবে।
এছাড়া বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। তার স্থলে নতুন প্রাধ্যক্ষ হিসেবে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ক্যাম্পাস বন্ধের প্রতিবাদে রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা ‘সাস্টিয়ান সাস্টিয়ান, এক হও এক হও’, ‘প্রশাসনের প্রহসন, মানি না মানব না’, ‘পরীক্ষা কেন বন্ধ, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘হল কেন বন্ধ, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কেন বন্ধ, প্রশাসন জবাব চাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
একপর্যায়ে শাহপরান হল ও সৈয়দ মুজতবা আলী হল থেকেও শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে তাদের সঙ্গে যোগ দেন। পরে তারা হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের দিকে চলে যান।