ঘুস, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে এবার তদন্তের মুখে পড়ছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। দেশের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার কোনো সা গ্রহণবেক প্রধানের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ ওঠা ও আনুষ্ঠানিকভাবে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া এই প্রথম।
ইকবাল মাহমুদ দীর্ঘ কর্মজীবনে দক্ষ আমলা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সচিব ও পরে সিনিয়র সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। চাকরি শেষে ২০১৬ সালের মার্চে তিনি দুদকের চেয়ারম্যান হন এবং দায়িত্ব নিয়েই দুর্নীতিবিরোধী কঠোর অভিযান চালান। সে সময় অনেক প্রভাবশালী আসামি গ্রেপ্তার হন, বহুজন দেশ ছাড়েন। সময়ের ব্যবধানে সেই সময়কার প্রধান এখন নিজেই তদন্তের মুখে।
সূত্র জানায়, ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বে কর্মরত তখনকার দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান এবং মো. জহুরুল হকের বিরুদ্ধেও ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি ফ্ল্যাট ক্রয়ের অভিযোগে অনুসন্ধান চলমান।
এদিকে দুদকে জমা পড়া একটি অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য খাতের ‘মাফিয়া’ হিসেবে পরিচিত মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু বর্তমানে দুদকের মামলায় কারাবন্দি। রিমান্ড শেষে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে তিনি উল্লেখ করেন, বিভিন্ন দুর্নীতির কাজে তিনি ইকবাল মাহমুদের সহযোগিতা পেয়েছিলেন। বিষয়টি দুদক গুরুত্ব দিয়ে দেখে।
অনুসন্ধানটি দেখবে কমিশনের মানি লন্ডারিং শাখা, খুব দ্রুত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। পাশাপাশি ইকবাল মাহমুদের ছোট ভাই সাদিক মাহমুদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
